শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
ধর্ম ও জীবন।।
জাকাত ইসলামের ফরজ বিধান, ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি। প্রত্যেক স্বাধীন, পূর্ণবয়স্ক ও সম্পদশালী মুসলমান পুরুষ ও নারীর প্রতি বছর নিজের সম্পদের একটি নির্দিষ্ট অংশ দরিদ্র-দুস্থদের মধ্যে বিতরণের নিয়মকে জাকাত বলা হয়। শরিয়ত নির্ধারিত সীমার বেশি সম্পদ হিজরি ১ বছর ধরে কারও কাছে থাকলে তাকে সম্পদশালী গণ্য করা হয় এবং তার বর্ধনশীল সম্পদের ২.৫ শতাংশ বা ১/৪০ অংশ দান করতে হয়। কোরআনে জাকাত শব্দের উল্লেখ এসেছে ৩২ বার, নামাজের পর জাকাতের কথাই সবচেয়ে বেশি বলা হয়েছে।
জাকাত কাদের দিতে হবে সে সম্পর্কে কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, সদকা হচ্ছে দরিদ্র ও অভাবীদের জন্য এবং এতে নিয়োজিত কর্মচারীদের জন্য, আর যাদের অন্তর আকৃষ্ট করতে হয় তাদের জন্য; তা বণ্টন করা যায় দাস আযাদ করার ক্ষেত্রে, ঋণগ্রস্তদের মধ্যে, আল্লাহর রাস্তায় এবং মুসাফিরদের মধ্যে। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত, আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়। (সুরা তওবা: ৬০)
জাকাত আদায় হওয়ার জন্য শর্ত হলো জাকাতের অর্থ হকদারের মালিকানাধীন করে দেওয়া। জাকাতের যতটুকু হকদারের মালিকানাধীন হবে, ততটুকুই জাকাত গণ্য হবে।
তাই বিকাশ, নগদ, রকেট বা এ রকম কোনো মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসের মাধ্যমে জাকাতের অর্থ পাঠালে ক্যাশআউট-চার্জ জাকাতদাতার বহন করতে হবে। ক্যাশআউট চার্জ জাকাত গণ্য হবে না। যেমন ধরুন আপনি যদি জাকাত আদায়ের নিয়তে কাউকে বিকাশে পাঁচশ টাকা দেন, সেখানে ক্যাশ আউট চার্জ যদি বিশ টাকা হয়, আপনার হিসাব করতে হবে, আপনার চরশ আশি টাকা জাকাত আদায় হয়েছে, পাঁচশ টাকা নয়। পাঁচশ টাকা জাকাত হিসেবে আদায় করতে চাইলে আপনাকে পাঁচশ বিশ টাকা পাঠাতে হবে।